প্রতিশোধের পথে ভালোবাসা❤️
রাতের অন্ধকারে ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছুটে চলেছে আদিত্য। মুখে গভীর দৃঢ়তা আর চোখে প্রতিশোধের আগুন। আদিত্য একজন একরোখা পুরুষ, যার জীবনে একটাই লক্ষ্য— তার প্রিয়তমা অর্পিতার হত্যাকারীকে খুঁজে বের করা এবং শাস্তি দেওয়া। ভালোবাসা ছাড়া সে কিছু বোঝে না, কিন্তু এখন সেই ভালোবাসা তাকে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
অর্পিতা ছিল আদিত্যের পৃথিবী। তারা একসাথে সবকিছু ভাগ করেছিল, সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন। কিন্তু এক রাতে তাদের জীবন তছনছ হয়ে যায়। অর্পিতাকে রহস্যজনকভাবে খুন করা হয়, এবং হত্যাকারীর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। পুলিশ মামলাটি ফাইলবন্দি করে রেখেছিল, কিন্তু আদিত্য সেই রাতে প্রতিজ্ঞা করেছিল— যতক্ষণ না হত্যাকারী ধরা পড়ে, সে থামবে না।
তদন্ত করতে করতে আদিত্য নিজেই একজন গোয়েন্দায় পরিণত হয়েছিল। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, সে প্রমাণ খুঁজে বেড়ায়, প্রত্যেকটি সূত্রকে ধরে ধীরে ধীরে সামনে এগোয়। আর আজ, এতদিনের পরিশ্রমের ফল হিসেবে, সে সত্যের ঠিক কাছাকাছি পৌঁছেছে।
জঙ্গলের গভীরে যে আস্তানার সন্ধান সে পেয়েছে, তা এক মাফিয়া গ্যাংয়ের লুকিয়ে থাকার জায়গা। আদিত্য জানে, তার প্রিয়তমার হত্যার পেছনে এদের হাত আছে। এই চিন্তা তার মনে আগুন জ্বালিয়ে রাখে।
গ্যাংয়ের নেতা রাজীব, যাকে সবাই ভয় পায়, সে-ই আসল অপরাধী। অর্পিতাকে সে হত্যা করেছিল, কারণ সে একটি বেআইনি অস্ত্র পাচার নিয়ে সত্য জানতে পেরেছিল। আদিত্য ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যায়, তার হাত শক্ত হয়ে আসে, গাছে বাঁধা রিভলভারটি যেন চিৎকার করে প্রতিশোধের আহ্বান জানাচ্ছে।
গোপনে ছদ্মবেশে ঢুকে পড়ে আদিত্য রাজীবের আস্তানায়। ভেতরে ঢুকেই সে রাজীবের মুখোমুখি হয়। রাজীব তার সামনে হেসে ওঠে, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে ভয় ছিল— কারণ আদিত্য একজন পাগল প্রেমিক, যে ভালোবাসার জন্য সবকিছু করতে পারে।
"তুমি জানো না, আমি কী করতে পারি," আদিত্য বলে, তার চোখে রাগ আর প্রতিশোধের ঝিলিক।
"তোমার শক্তি একটাই— ভালোবাসা," রাজীব বিদ্রূপ করে।
"হ্যাঁ, এবং সেই ভালোবাসাই তোমাকে শেষ করবে," বলে আদিত্য রিভলভারটি তুলে নেয়।
একের পর এক গুলি বেরিয়ে আসে। রাজীবের মানুষরা পালাতে থাকে, কেউ প্রতিরোধ করার সাহস পায় না। আদিত্য তাদের কাউকে থামানোর জন্য আসেনি। তার লক্ষ্য একটাই— রাজীব।
শেষ গুলিটি রাজীবের বুকে বিদ্ধ হয়। রাজীব মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আদিত্য ধীরে ধীরে তার প্রিয়তমার ছবি বের করে, চোখে জল নিয়ে তাকিয়ে থাকে। তার প্রতিশোধ শেষ, কিন্তু তার ভেতরে এক শূন্যতা থেকে যায়।
এই শূন্যতার ভেতরেও ভালোবাসা রয়ে গেছে, যেটা তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে, কিন্তু সে জানে, অর্পিতাকে ছাড়া তার পৃথিবী আর আগের মতো হবে না। তবে আজ সে অন্তত শান্তি পেল— তার ভালোবাসার প্রতিশোধ সে পূর্ণ করেছে।
এই গল্পটি পড়ে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! আপনি কি আদিত্যর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?
আমার ফেসবুক পেজ ফলো করতে নিজের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://www.facebook.com/profile.php?id=61556291025530&mibextid=ZbWKwL
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন