পোস্টগুলি

💔❤️একজন বেকারের আত্মকথা❤️💔

 💔একজন বেকারের আত্মকথা💔 আমি সুমান, ২৯ বছর বয়সী একজন তরুণ, যার জীবনটা দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্রের মধ্যে বন্দী। আমি বেকার। হ্যাঁ, এই পরিচয়টা এখন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। ছোটবেলায় যখন কেউ জিজ্ঞেস করত, "বড় হয়ে কী হবে?", আমি উত্তেজিত হয়ে বলতাম, "ডাক্তার!" আরো অনেকে অনেক কিছু।কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। পড়াশোনা শেষ করতে করতে যখন চাকরির বাজারে পা দিলাম, তখন বুঝলাম, সব স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনে হতো, স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হলেই সোনার হরিণ ধরা হবে। সবকিছু সহজ মনে হতো। পরিবারের সদস্যরা বলত, "চাকরির অভাব নেই, চেষ্টা করলে ঠিকই একটা কিছু পেয়ে যাবে।" কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হলো না। দিন গড়াতে লাগল, একটার পর একটা চাকরির আবেদন করলাম, ইন্টারভিউ দিলাম, কিন্তু চাকরি পেলাম না। প্রথমে কিছু হতাশা হতো, কিন্তু পরে এটা নিয়মে পরিণত হলো। ফলাফল না পেলেও চেষ্টা করতে হবে—এটাই যেন আমার জীবনের মূলমন্ত্র হয়ে গেল। বেকারত্ব শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, মানসিক যন্ত্রণাও। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, আজও কী নতুন কিছু হবে? নতুন কিছু কি আসবে আমার ...

❤️দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেওয়া উচিত ❤️

দাঁত ব্রাশ করা হাঙর সুপারহিরো, নাম তার শার্কি, সমুদ্রের প্রাণীদের দাঁতের উপর হুমকি হয়ে ওঠা প্লাক দানবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বিশালাকৃতির টুথব্রাশ এবং সুপার শক্তিশালী মাউথওয়াশ নিয়ে সে প্রবাল প্রাচীরের মধ্য দিয়ে ভেসে চলে আর পিছনে রেখে যায় ঝকঝকে হাসি। একদিন, দুষ্ট ক্যাভিটার (দাঁতের রোগ) হাজির হয়, সাগরে গর্ত তৈরি করে এবং এমনকি বিশাল তিমিরাও সাহায্যের জন্য কাঁদতে থাকে। এই অবস্থায় শার্কি ক্যাভিটারের আস্তানায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।  পুদিনার ফেনা দিয়ে স্ক্রাব করে যতক্ষণ না দুষ্টটি পরাজিত হয়, এবং সমুদ্রের দাঁত আবার ঝকঝকে হয়। সেই দিন থেকে, শার্কি একটি কিংবদন্তি হয়ে ওঠে, সবাইকে মনে করিয়ে দেয় যে পরিষ্কার দাঁত শুধু সমুদ্র নয়, হাসিকেও সুস্থ রাখে। ছোট সচেতনতামূলক গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্টে জানান। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ও পেজটি ফলো করে রাখুন। Collected from My fb page "#গল্প কথন- Story Teller" 

মধ্যযুগীয় ভারতীয় বন্যা ও ভৌতিক কাহিনী ❤️

  মধ্যযুগীয় ভারতের একটি দূরবর্তী শহর ছিল কুসুমপুর। এটি ছিল ঘন জঙ্গলের ভেতরে লুকানো, এক ছোট্ট শহর যেখানে দিন কেটেছিল মানুষদের সাধারণ জীবনযাত্রায়। কিন্তু একটি ঘটনা সেই শান্ত জনপদের ভাগ্যকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছিল। কুসুমপুরের পাশে ছিল বিশাল এক নদী—উকড়ি বিল। নামটা বিল হলেও এটি ছিল মূলত নদী, যার পানি সাধারণত শান্ত ও ধীর ছিল। কিন্তু মধ্যযুগের এক শীতকালের পর, যে বর্ষা নেমেছিল তা ছিল মানুষের ধারণার বাইরে। মেঘ ঘন হয়ে এলো আকাশে, দিনের পর দিন পানি ঝরল একটানা। সেই পুরনো পাথরের বাড়িগুলো ও চাষের জমি ক্রমে পানির নিচে তলিয়ে যেতে শুরু করল। শহরের মানুষরা ভয় পেল, কারণ উকড়ি বিল তখন আগ্রাসী দানবের মতো উঠছিল। বহু শতাব্দী ধরে এ শহর কোনো বড় দুর্যোগের সম্মুখীন হয়নি, তাই প্রতিরোধের কোনো উপায় ছিল না। শহরের  হুজুর মককেল আলী তখন ঘোষণা করলেন, "এ কোনো সাধারণ বন্যা নয়। এটি সৃস্টিকর্তার অভিশাপ। শহরের পাপ আমাদের ডুবিয়ে দিচ্ছে।" হুজুরের কথায় মানুষের মনে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক, কারণ এ অঞ্চলের মানুষেরা বহুদিন ধরে একটি পুরনো কাহিনীতে বিশ্বাস করত—উকড়ির বিলে ভুতেরা বাস করে, যারা কোনো দুর্যোগ হলে আত্মা সংগ্রহ করে। সেদিন ...

"দেশপ্রেম ও একজন প্রবাসী: একটি প্রেরণামূলক গল্প"❤️

রিয়াদ ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত বিদেশ যাওয়ার। তার বাবারমুখে শোনা ছিলো প্রবাসে থাকা আত্মীয়দের সফলতার গল্প। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি, জীবনের মানোন্নয়ন—এসবই ছিলো তার কাছে প্রবাসজীবনের মূলকথা। তবে তার দেশের প্রতি ভালোবাসা ছিলো অটুট। সবসময় ভেবেছিল, বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেশের জন্য কিছু করবে। কিন্তু বাস্তবতা কি এমন সহজ? দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া রিয়াদের জীবনে সুযোগের সংকট ছিল চিরসঙ্গী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে সে কিছুদিন চাকরির চেষ্টা করে। কিন্তু দেশের কাজের বাজারে প্রতিযোগিতা এবং সীমিত সুযোগের কারণে সে বারবার ব্যর্থ হতে থাকে। একসময় সে সিদ্ধান্ত নেয়, পরিবারের আর্থিক অবস্থা বদলাতে তাকে প্রবাসেই যেতে হবে। ❤️প্রবাস যাত্রা প্রথমদিকে, রিয়াদের পরিবার এবং বন্ধুরা তাকে উৎসাহ দিয়েছিল। সবাই বলত, "বাহ, রিয়াদ! বিদেশে গিয়ে নিজের জীবন পাল্টে ফেলো। আমাদের জন্য গর্বিত হয়ে উঠো।" এসব কথায় রিয়াদের প্রেরণা মিলত। কিন্তু বিদায় নেওয়ার মুহূর্তে তার মনের গভীরে এক অজানা শূন্যতা ভর করে। দেশের মাটি, পরিচিত মানুষজন, প্রিয় শহর সবকিছুকে পেছনে ফেলে যেতে মন চাইছিল না। কিন্তু বাস্তবতার কারণে তাকে মন শক্ত করতে ...

❤️রহস্যময় যাত্রা❤️

রাতের অন্ধকারে ট্রেনটি যেন অজানা এক গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে। জানালার বাইরে কেবল কালো আকাশ আর অস্পষ্ট গাছপালা। ট্রেনের কেবিনে বসে থাকা আরিফের মনে বারবার এক অজানা শঙ্কা কড়া নাড়ছে। কোথাও কিছু একটা ঠিক নেই, তবে সেটা ঠিক কী—তা সে বুঝতে পারছে না। সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল আরিফ। জরুরি কাজে তাকে যেতে হবে। শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল, তবে ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই কেমন যেন অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। আশেপাশের যাত্রীরা একে একে নেমে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো নতুন যাত্রী উঠছে না। ট্রেনের আলো মৃদু হয়ে আসছে, আর এর সঙ্গে যেন ঘনিয়ে আসছে অদ্ভুত এক নীরবতা। কেবিনে বসে থাকা একমাত্র অপরিচিত লোকটি হঠাৎ আরিফের দিকে তাকায়। তার চোখে অদ্ভুত এক শীতলতা। লোকটি হেসে বলল, "তোমার গন্তব্য কি তুমি জানো?" এই প্রশ্নে আরিফ কাঁপতে থাকে। “হ্যাঁ, আমি ঢাকায় যাচ্ছি। আপনি কে?” আরিফ জিজ্ঞেস করে। লোকটি মৃদু হেসে বলে, "সবাই ভাবে তারা জানে কোথায় যাচ্ছে, কিন্তু সব গন্তব্য তো আর গন্তব্য নয়।" কথাগুলো যেন আরিফের বুকের ভিতর হিমেল বাতাসের মতো বইতে থাকে। আরিফ জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়, কিন্তু কে...

❤️বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা❤️

  নাম ছিল সোহান, স্বপ্নবাজ এক তরুণ। কলেজে ভর্তি হয়ে নতুন এক জীবনের দিকে পা বাড়ায় সে। ক্লাসে প্রথম দিনেই তার চোখে পড়ে নীল শাড়ি পরা একটি মেয়েকে—রাফিয়া। এক ঝলক দেখেই যেন তার হৃদয় থমকে গেল। কিন্তু কীভাবে কথা বলবে, সেই সাহস সোহানের মধ্যে ছিল না। click here দিন কেটে যায়, সোহান রাফিয়াকে দূর থেকে দেখেই সন্তুষ্ট থাকে। তবে প্রতিবারই তার মনে হয়, ‘আজ কথা বলব।’ কিন্তু সামনে আসতেই সমস্ত কথা হারিয়ে যায়। বন্ধুরা জানত সোহানের মনের কথা, কিন্তু সোহান নিজে ছিল দ্বিধাগ্রস্ত—ভয় পেত প্রত্যাখ্যানের। একদিন কলেজের গ্রন্থাগারে বই খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করেই তাদের মুখোমুখি দেখা হয়ে গেল। বই খুঁজতে খুঁজতে রাফিয়া সোহানের পাশেই এসে দাঁড়ায়। সোহানের হৃদয় যেন আবার থমকে গেল। অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে সে বলল, “তুমি কী বই খুঁজছ?” রাফিয়া মুচকি হেসে বলল, “একটা কবিতার বই, তুমি?” সোহানও মুচকি হেসে বলল, “আমিও কবিতা ভালোবাসি। তবে আজ এক নতুন কবিতার গল্প লিখছি মনে হয়!” এই কথায় রাফিয়া একটু চমকে উঠে, আবার মৃদু হাসে। এভাবেই তাদের মধ্যে আলাপ শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাফিয়া আর সোহানের বন্ধুত্ব গাঢ় হতে থাকে। প্রতিদিন একসা...

প্রতিশোধের পথে ভালোবাসা❤️

রাতের অন্ধকারে ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে ছুটে চলেছে আদিত্য। মুখে গভীর দৃঢ়তা আর চোখে প্রতিশোধের আগুন। আদিত্য একজন একরোখা পুরুষ, যার জীবনে একটাই লক্ষ্য— তার প্রিয়তমা অর্পিতার হত্যাকারীকে খুঁজে বের করা এবং শাস্তি দেওয়া। ভালোবাসা ছাড়া সে কিছু বোঝে না, কিন্তু এখন সেই ভালোবাসা তাকে ধ্বংসের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। অর্পিতা ছিল আদিত্যের পৃথিবী। তারা একসাথে সবকিছু ভাগ করেছিল, সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন। কিন্তু এক রাতে তাদের জীবন তছনছ হয়ে যায়। অর্পিতাকে রহস্যজনকভাবে খুন করা হয়, এবং হত্যাকারীর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। পুলিশ মামলাটি ফাইলবন্দি করে রেখেছিল, কিন্তু আদিত্য সেই রাতে প্রতিজ্ঞা করেছিল— যতক্ষণ না হত্যাকারী ধরা পড়ে, সে থামবে না। তদন্ত করতে করতে আদিত্য নিজেই একজন গোয়েন্দায় পরিণত হয়েছিল। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, সে প্রমাণ খুঁজে বেড়ায়, প্রত্যেকটি সূত্রকে ধরে ধীরে ধীরে সামনে এগোয়। আর আজ, এতদিনের পরিশ্রমের ফল হিসেবে, সে সত্যের ঠিক কাছাকাছি পৌঁছেছে। জঙ্গলের গভীরে যে আস্তানার সন্ধান সে পেয়েছে, তা এক মাফিয়া গ্যাংয়ের লুকিয়ে থাকার জায়গা। আদিত্য জানে, তার প্রিয়তমার হত্যার পেছনে এদের হাত আছে। এই চিন্তা...